জমাদিউল আউয়াল মাসের তাৎপর্য এবং ফিজিলত: হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা এই সুন্দরতম বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো, যা আপনাদের সবার জানা দরকার। আপনি যদি এই বিষয়টি না জানেন তাহলে আপনার জীবন স্বার্থক হবে না। এই জন্য এই পোস্টটি সম্পর্ণ পড়ুন।
জমাদিউল আউয়াল মাসের তাৎপর্য এবং ফিজিলত
জমাদিউস সানি ও জমাদিউল আউয়াল জোড়া আরবী মাসের মধ্যে দুটি মাস। জমাদিউল আউয়াল হিজরী সন বা আরবী বর্ষ পঞ্জিকার পঞ্চম মাস। মাস দুটির বাংলা অর্থ হলো প্রথম জমাদা ও দ্বিতীয় জমাদা । প্রথম জমাদা মানে হলো শীতকালের প্রথম মাস ও দ্বিতীয় জমাদা অর্থ হলো শীতকালের দ্বিতীয় মাস। (আল-মুনজিদ)
জমাদা শব্দের আভিধানিক অর্থ স্থির, কঠিন , দূঢ়, অবিচল, নীরব এবং নীথর । যেহেতু শীতকালে আরবে বরফ জমে গাছ-পালা, পশু-পাখি নীরব নিথর হয়ে যায়, তাই এই জমাদা নামে নামকরণ করা হয় এই মাসকে ।
আমলঃ নফল রোজা, নফল নামাজ, ইত্যাদি এই মাসে আদায় করলে কল্যান লাভ হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ তথা তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত জাওয়াল ও আয়াবিন নামাজ আদায় করতে পারেন।
মানত রোজা, কাযা রোজা আদায় করা যায়। ১, ১০, ২৯, ৩০ তারিখ রোজা রাখা এবং চাদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সুন্নাত রোজা ।
এছাড়াও দুরুদ শরীফ, তওবা, ইস্তেগফার, জিকির, দোয়া, খতম, কুরআন তেলাওয়াত, সদগা, দান-খয়রাত ইত্যাদি আমলের মধ্য দিয়ে এই মাস অতিবাহিত করলে এর ফজিলত, বরকত ও কল্যান নিশ্চিত হবে।
পরকালে নেককার মুমিন জান্নাতি দের কোন আফসোস থাকবে না। আফসোস হবে যারা বেহুদা সময় কাটাবেন তাদের এই সময়ের জন্য। যে সময় গুলো তারা অবহেলায় পার করেছেন কোন আমল করা ছাড়া। (তিরমিযি)
আশা করি আপনাদের এই “জমাদিউল আউয়াল মাসের তাৎপর্য এবং ফিজিলত” বিষয়টি বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি। যদি কোনো বিষয় না বোঝেন তাহলে আমাদের ফেসবুক পেইজ এ নক দিতে পারেন।