এক লক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব

এক লক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব : হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা এই সুন্দরতম বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো, যা আপনাদের সবার জানা দরকার। আপনি যদি এই বিষয়টি না জানেন তাহলে আপনার জীবন স্বার্থক হবে না। এই জন্য এই পোস্টটি সম্পর্ণ পড়ুন।

এক লক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব

এক লক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব

হযরত মাওলা আলী :

এক লক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব -(কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল করীম) থেকে বর্ণিত, একদিন সরকারে মদীনা। (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) এরশাদ। যে ব্যক্তি ইসলামী হজ্জ  পালন সমাপ্ত করে ধন্য হয়। আর এর পরে ধর্মীয় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, তবে তার সাওয়াব চারশ’ হজ্জের সমান হবে। সেখানে এমন কিছু লােকও উপস্থিত ছিলেন, যারা হজ্জ করার সামর্থ্য ও জিহাদ করার শক্তির অধিকারী ছিলেন না।

একথা শুনে তাঁদের অন্তর ভেঙ্গে গেলাে। কারণ, তারা এ সাওয়াব হাসিল করতে পারছিলেন না। আল্লাহ রাব্বল ইয্যত (আযযা ওয়া জাল্লা)’র দয়ার সাগরে ঢেউ আসলাে।

এক লক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব

প্রিয় মােস্তফার নিকট ওহী প্রেরণ করলেন- “হে মাহবুব (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম)! যে ব্যক্তি আপনার প্রতি দুরূদ শরীফ প্রেরণ করবে, সে চারশ’ ধর্মীয় যুদ্ধের সাওয়াব পাবে , আর প্রতিটি ধর্মীয় যুদ্ধ চারশ’ হজ্জের সমান হবে।” জযবুল ক্কা) সুবহানাল্লাহ! একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করার সাওয়াব চারশ’ ধর্মীয় যুদ্ধের সমান।

প্রত্যেক ধর্মীয় যুদ্ধ চারশ’ হজ্জের সমান। চারশ’কে চারশ দ্বারা গুণ করলে পূণফল একলক্ষ ষাট হাজার হয়। আলহামদু লিল্লাহ! (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই নিমিত্ত!) দুরূদ শরীফ পাঠ করার বিনিময়ে একলক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব পাওয়া যায়। (আল্লাহ মহা অনুগ্রহের মালিক।)

প্রতিটি ব্যাথার ঔষধ হচ্ছে ‘সাল্লি আলা মুহাম্মাদ

সরকার মদীনা (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) এরশাদ ফরমায়েছেন, “কারাে নিকট কোন সঙ্কট এসে পড়লে তার উচিৎ আমার উপর বেশী পরিমাণে দুরূদ শরীফ পাঠ করা। কেননা, তা সমস্যাবলীর সমাধান করে দেয় এবং পেরেশানীসমূহ দূর করে।”

সরকারে মদীনা (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) এরশাদ ফরমায়েছেন,“ওই ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তােমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশী ভয়ানক অবস্থাদি থেকে নাজাতপ্রাপ্ত হবে, যে দুনিয়ায় আমার উপর সর্বাপেক্ষা বেশী দুরূদ শরীফ পাঠকারী হবে।”

সরকারে মদীনা (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) এরশাদ ফরমায়েছেন, “হাওযে কাওসার’-এর উপর আমি এমন এমন দল। পাবাে, যাদেরকে আমি বেশী পরিমাণে দুরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে। চিনবাে।”

**

হুযূর (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) আরাে এরশাদ ফরমাচ্ছেন, “জান্নাতে সর্বাপেক্ষা বেশী হুর’ ওই ব্যাক্তিরই হবে, যে সর্বাপেক্ষা বেশী দুরূদ শরীফ পাঠকারী হবে। হুযূর (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) আরাে এরশাদ

ফরমায়েছেন যে, কিয়ামত দিবসে আমার সবচেয়ে বেশী নিকটে থাকবে ওই ব্যক্তি, যে আমার উপর বেশী পরিমাণে দুরূদ শরীফ পাঠ করবে।”

বেশী পরিমাণে দরূদ পাঠ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে-
হযরত শায়খ হুসাইন ইবনে আহমদ বােস্তামী (রাহমাতুল্লাহি তা’আলা আলাইহি) বলেছেন, “আমি আল্লাহ (আযযা ওয়া জাল্লা) দরবারে দো’আ করেছি-“হে আল্লাহ! (আযযা ওয়া জাল্লা) আমি স্বপ্নে আবূ সালিহ মুআযযিনকে দেখতে চাই । সুতরাং আমার দো’আ কুকূল হয়েছে। আমি মুআযিন সাহেবকে সপ্লে দেখেছি- খুবই শানদার অবস্থায় আছেন আমি বললাম, আবু সালিহ্! আমাকে একটু তােমাদের সেখানকার অবস্থাদি সম্পর্কে বলাে!’ তদুত্তরে,

তিনি বললেনঃ

“যদি না তাজদারে মদীনা (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম)-এর পবিত্র সত্তার প্রতি দরূদ পাক বেশী পরিমাণে পাঠ করতাম, তবে হয়তাে আমি ধ্বংসই হয়ে যেতাম।” (সা’আদাতুদ দারাঈন)

আশা করি আপনাদের এই “এক লক্ষ ষাট হাজার হজ্জের সাওয়াব ” বিষয়টি বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি। যদি কোনো বিষয় না বোঝেন তাহলে আমাদের ফেসবুক পেইজ এ নক দিতে পারেন।

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.