মুসাফির কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | মুসাফিরের নামাজের নিয়ম | মুসাফির ও মুকিমের পার্থক্য

মুসাফিরের ধারণা আমাদের সংস্কৃতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই লেখায় আমরা জানব মুসাফির কাকে বলে এবং ইসলাম মুসাফিরদের জন্য কীভাবে নামাজ সহজ করেছে। 

ভ্রমণের সময় নামাজ পড়ার নিয়ম ও মুসাফির ও মুকিমের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আপনি ইসলামি বিধানকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন। চলুন, এই তথ্যগুলো জানার জন্য লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ে ফেলি!

মুসাফির কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | মুসাফিরের নামাজের নিয়ম | মুসাফির ও মুকিমের পার্থক্য

মুসাফির কাকে বলে?

মুসাফির বলতে বোঝায়, যখন কেউ নিজ এলাকা থেকে কমপক্ষে ৭৮ কিলোমিটার দূর ভ্রমণ করে, তখন তাকে শরীয়ত মতে মুসাফির বলা হয়। যারা এর চেয়ে কম দূরত্ব ভ্রমণ করে, তাদের মুকিম বলা হয়।

মুসাফিরের নামাজের নিয়ম

মুসাফিরদের জন্য ইসলাম সহজ করেছে, যেমন চার রাকাত ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়ার নিয়ম দেওয়া হয়েছে, যাকে কসর বলে। কিন্তু মাগরিব, ফজর এবং বেতরের নামাজ পুরো পড়তে হবে।

মুসাফির ও মুকিমের পার্থক্য

কেউ যদি ভ্রমণকালে ৭৮ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরে গিয়ে কোনো স্থানে ১৫ দিন বা তার বেশি সময় থাকার নিয়ত করে, তাহলে তিনি সেই স্থানে মুকিম হিসেবে গণ্য হবেন।

কসরের হুকুম

মুসাফিরের জন্য নামাজ সংক্ষিপ্ত করার হুকুম এসেছে পবিত্র কোরআনে। সুরা নিসার ১০১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে সফরের সময় নামাজ কসর করা বৈধ।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উদাহরণ

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সফর অবস্থায় সবসময় কসর পড়তেন। হাদিসে এসেছে যে, মুসাফির অবস্থায় দুই রাকাত নামাজ ফরজ করা হয়েছে।

ভুলে চার রাকাত পড়লে করণীয়

যদি কেউ ভুলক্রমে চার রাকাত শুরু করে এবং প্রথম বৈঠক করে থাকে, তবে সিজদা সাহু করে নামাজ পূর্ণ হবে। কিন্তু প্রথম বৈঠক না করে থাকলে, নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

আশা করি, আপনি মুসাফিরের ধারণা এবং নামাজের নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানাতে পেরেছেন। ইসলাম আমাদের জন্য ভ্রমণের সময়ও সহজ করেছে। আরও তথ্যপূর্ণ এবং সহায়ক লেখা পেতে আমাদের ওয়েবসাইট স্টাডিটিকা ডটকমে আরও পোস্ট পড়তে ভুলবেন না। আপনার পড়াশোনার যাত্রা শুভ হোক!

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.