প্রিয় পাঠক, স্বাগতম! আজ আমরা আলোচনা করবো "উপসর্গ" সম্পর্কে। উপসর্গ হলো কিছু শব্দাংশ যা কোনো শব্দের আগে বসে সেই শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে। এটি আমাদের ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ এবং অর্থপূর্ণ করে তোলে। যেমন, "কাজ" শব্দের আগে "অ" বসালে হয় "অকাজ" এবং "সু" বসালে হয় "সুকাজ"। উপসর্গের সাহায্যে আমরা নতুন নতুন শব্দ গঠন করতে পারি। আসুন, বিস্তারিত জানি উপসর্গের প্রকারভেদ ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে।
উপসর্গ কাকে বলে?
উপসর্গ হলো কিছু শব্দাংশ, যেগুলো কোনো ধাতু বা শব্দের আগে বসে সেই শব্দের অর্থ বদলে দেয়। এগুলোকে উপসর্গ বলা হয়।
উপসর্গের নিজের কোনো আলাদা অর্থ থাকে না, তবে এটি অন্য শব্দের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে। উপসর্গের অর্থ নিজে কিছু নয়, কিন্তু এটি শব্দের অর্থ প্রকাশ করতে সহায়তা করে।
একটি উপসর্গ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হতে পারে, যেমন: "অ", "সু", "প্র", "প্রতি"। যেমন "কাজ" শব্দের আগে "অ" দিলে হয় "অকাজ", আর "সু" দিলে হয় "সুকাজ"। তেমনি "ক্রিয়া" শব্দের আগে "প্র" দিলে হয় "প্রক্রিয়া", এবং "প্রতি" দিলে হয় "প্রতিক্রিয়া"।
তাই, উপসর্গ হচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট অব্যয়, যা শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে ও তার অর্থ পরিবর্তন করে।
উপসর্গ কত প্রকার?
উপসর্গ মূলত তিন প্রকারের হতে পারে। এগুলো হলো:
- দেশী বা বাংলা উপসর্গ
- সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
- বিদেশী উপসর্গ
দেশী বা বাংলা উপসর্গ
যেসব শব্দাংশ বাংলার আদিম জাতির ভাষা থেকে এসেছে এবং বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে দেশী বা বাংলা উপসর্গ বলে। দেশী উপসর্গের সংখ্যা ২১টি। যেমন: অ, অনা, আ, আন, উন্, কু, নি, বি ইত্যাদি।
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
যেসব উপসর্গ সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে এবং এখন বাংলা ভাষায় ব্যবহার হয়, সেগুলোকে সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলা হয়। যেমন: অতি, অধি, অনু, অপ, অভি, আ, উপ, নি, প্রতি ইত্যাদি।
বিদেশী উপসর্গ
বিদেশী ভাষা থেকে আসা উপসর্গগুলোকে বিদেশী উপসর্গ বলা হয়। যেমন আরবি, ফারসি, এবং ইংরেজি উপসর্গ। উদাহরণ হিসেবে: আরবি- লা, ফারসি- কার, না, এবং ইংরেজি- ফুল (full), হেড (head
এখন আপনি জানেন উপসর্গ কী এবং এর প্রকারভেদ কিভাবে কাজ করে। উপসর্গ শব্দের অর্থ পরিবর্তনে এবং নতুন শব্দ তৈরি করতে সাহায্য করে। আরও জানতে এবং শেখার জন্য আমাদের সাইটে আরও ব্লগ পোস্ট পড়ুন। আপনার মন্তব্য ও প্রশ্ন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ!