তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | তড়িৎ ঋণাত্মকতার পরিবর্তন

তড়িৎ ঋণাত্মকতা হলো একটি আকর্ষণীয় বৈজ্ঞানিক ধারণা যা রসায়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি জানেন কিভাবে মৌলগুলো একে অপরকে আকর্ষণ করে এবং তাদের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে, তাহলে এই বিষয়টি আপনাকে আরও মুগ্ধ করবে। আসুন, সহজ ভাষায় তড়িৎ ঋণাত্মকতা কী এবং এর পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে জানি।

তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | তড়িৎ ঋণাত্মকতার পরিবর্তন

তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?

কোনো যৌগের অণুতে সমযোজী বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ থাকা অবস্থায় কোনো মৌলের একটি পরমাণুর বন্ধন সৃষ্টিকারী ইলেকট্র -জোড়কে নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা বা প্রবণতাকে ওই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।

তড়িৎ ঋণাত্মকতা একটি বৈজ্ঞানিক শব্দ, যা বোঝায় যখন দুটি পরমাণু একসাথে বন্ধন করে একটি অণু তৈরি করে, তখন সেই অণুর পরমাণুগুলো একে অপরকে ইলেকট্রনের মাধ্যমে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকেই আমরা তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলি। এটি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম, যা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়।

তড়িৎ ঋণাত্মকতার পরিবর্তন

যখন আমরা একই পর্যায়ে বাম থেকে ডান দিকে যাই, তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান বৃদ্ধি পায়। আর যখন ডান থেকে বাম দিকে আসি, তখন এটি কমে যায়। অর্থাৎ, যদি পরমাণুর আকার বড় হয়, তাহলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম হয়, আর যদি আকার ছোট হয়, তাহলে এটি বেশি হয়।

উদাহরণ হিসেবে সোডিয়াম ও ক্লোরিন

তৃতীয় পর্যায়ের মৌলগুলোতে সোডিয়াম পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে কম এবং ক্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে বেশি। এর মূল কারণ হলো পারমাণবিক ব্যাসার্ধ। সোডিয়ামের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ তৃতীয় পর্যায়ের মধ্যে সবচেয়ে বড়, এবং ক্লোরিনের ব্যাসার্ধ সবচেয়ে ছোট। আশা করি আপনি তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে তার উত্তর পেয়েছেন।

মৌলগুলোর আকর্ষণ

মৌলগুলোর আকর্ষণ বোঝাতে আমরা বলতে পারি, সোডিয়াম এবং ক্লোরিনের মধ্যে ক্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি কারণ ক্লোরিনের পরমাণু ছোট এবং শক্তিশালী আকর্ষণ তৈরি করে।

নিয়ামকের প্রভাব

তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান পরিবর্তিত হয় কিছু নিয়ামকের কারণে। এই নিয়ামকগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • পারমাণবিক আকার বা ব্যাসার্ধ
  • পরমাণুর ইলেকট্রনের চার্জ

পারমাণবিক আকারের প্রভাব

পারমাণবিক আকার তড়িৎ ঋণাত্মকতার পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামক। যখন আকার বড় হয়, তড়িৎ ঋণাত্মকতা কমে যায়। আর আকার ছোট হলে, তড়িৎ ঋণাত্মকতা বাড়ে।

ইলেকট্রনের চার্জ

পরমাণুর ইলেকট্রনের চার্জও তড়িৎ ঋণাত্মকতার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোনো মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ে, তখন নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা বাড়ে এবং এর ফলে আকর্ষণও বাড়ে।

তড়িৎ ঋণাত্মকতার গুরুত্ব

তড়িৎ ঋণাত্মকতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি:

  • মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কতটা বড় বা ছোট।
  • মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান।
  • মৌলগুলোর মধ্যে আকর্ষণ শক্তি কেমন।
  • দুটি পরমাণু বিক্রিয়া করতে কত শক্তি লাগবে।

শেষ কথা

আজকের পোস্টে তড়িৎ ঋণাত্মকতা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আশা করি আপনি অনেক তথ্য পেয়েছেন। আপনি যদি আমাদের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

তড়িৎ ঋণাত্মকতা এবং এর উপর নিয়ামকের প্রভাব সম্পর্কে আপনার প্রশ্ন থাকলে, অবশ্যই মন্তব্য করুন। আমরা আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।

আশা করি, এই পোস্টটি থেকে আপনি তড়িৎ ঋণাত্মকতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। আরও এমন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পড়তে, দয়া করে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য ব্লগগুলো দেখুন।

Getting Info...

إرسال تعليق

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.