চিকন হওয়ার দোয়া: আপনার শরীরের স্বাস্থ্য যদি কম বা বেশি হয়, তবে কুরআন ও সুন্নাহ অনুসারে কিছু আমল করে আপনি এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন। তবে সঠিকভাবে আমল করলে, আপনার স্বাস্থ্য ও উচ্চতার সঙ্গে মানানসই হতে পারে। তবে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের এই পোস্টটি পড়ে, আপনার উপকারের জন্য যা কিছু শিখতে পারবেন, তা জানুন।
ওজন বাড়ানোর আমল
যাদের স্বাস্থ্য কম এবং যারা ওজন বাড়াতে চান, তাদের জন্য বিশেষভাবে একটি আমল রয়েছে। যদি আপনি বিবাহিত হন, তবে নিচে উল্লিখিত আল্লাহর দুটি গুণবাচক নাম পড়ুন:
يَا مُقْسِطُ. يَا قَوِي
ইয়া মুকছিতু ইয়া ক্বাউয়্যু
এই নামগুলো প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে পড়ুন। তবে, ৩০ মিনিটের বেশি পড়বেন না, কারণ এর মাধ্যমে যৌন শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। বিবাহিত ব্যতীত এই আমলটি অন্য কেউ না করা উত্তম।
অবিবাহিত হলে, নিচে দেওয়া আল্লাহর দুটি গুণবাচক নাম পড়ুন:
يا مقسط. يا باسط
ইয়া মুকসিতু ইয়া বাসিতু
এগুলি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট পড়ুন। এর মাধ্যমে আপনার শরীরের ওজন আপনার উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যাবে। এক গ্রামও বেশি বা কম হবে না।
ওজন কমানোর আমল
যাদের ওজন কমাতে হবে, তাদের জন্য নিম্নলিখিত নামগুলি পড়তে হবে:
يا مقسط يَا شَافِيْ
ইয়া মুকছিতু ইয়া শাফী
এই নামটি রোজা রেখে বা খালিপেটে পড়ুন। আসর নামাজের সময়ের ১৫ মিনিট আগে এই নামটি পড়া শুরু করুন। তারপর আসর নামাজ আদায় করুন এবং নামাজের পর আরও ১৫ মিনিট পড়ুন।
যদি এইভাবে না পড়তে পারেন, তবে খালিপেটে যে কোনো সময় পড়ুন। তবে খালিপেটে পড়া শর্ত।
সতর্কতা: এই আমল শুরু করার পর যদি শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তবে বিরতি নিতে হবে।
এ আমলের কার্যকারিতা
উপরোক্ত আমলগুলির উদ্ভাবনকারী বা সৃষ্টিকারীর পরিচয় আমাদের জানা নেই। তাছাড়া, কুরআন ও সুন্নাহতে এই ধরনের কার্যকারিতার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। তাই, এসব আমলের ফলাফল নিয়ে কোন প্রকার গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। যদি কেউ কাকতালীয়ভাবে কোনো ফল পান, তা নিছক এক ঘটনা।
এই ধরনের আমল ও চিকিৎসার সঙ্গে ইসলামের শরীয়তের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের উচিত কুরআন ও সুন্নাহ অনুসারে আমল করা।
কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী চিকিৎসা
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত রোগ ও সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা দিয়েছেন। হাদীসে বর্ণিত আছে, যে কোনো রোগের জন্য প্রতিষেধক ও চিকিৎসা রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সব ধরনের রোগের প্রতিষেধক রয়েছে। যদি কেউ রোগে আক্রান্ত হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে, তবে আল্লাহর ইচ্ছায় সে সুস্থ হবে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৮৭১)
কিছু চিকিৎসা সরাসরি যেমন মধু, কালো জিরা, গাছ-গাছড়া ইত্যাদি থেকে তৈরি ঔষধ ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু চিকিৎসা পরোক্ষভাবে হাদীসে বর্ণিত রোগ ও বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দুআ-দুরুদ পাঠ করা।
নববী কর্মপন্থা
এমনি রোগ, বিপদ ও দৈহিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাদীসে বর্ণিত দুআ-দুরুদ পড়া নববী কর্মপন্থা হিসেবে পরিগণিত। তাই, অনিশ্চিত ও অপ্রমাণিত পন্থায় সময় না ব্যয় করে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
উপসংহার
এখন আপনার জানা উচিত, স্বাস্থ্য সঠিক রাখার জন্য কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী চিকিৎসা এবং আমল কতটা কার্যকর হতে পারে। তবে, ইসলামের পথ অনুসরণ করে আমরা নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে যত্নবান হতে পারি। যদি আপনি আরও শিক্ষা ও জ্ঞান পেতে চান, তাহলে আমাদের আরও পোস্টগুলো পড়ুন। আমাদের সাইটে অনেক ধরনের তথ্য রয়েছে, যা আপনাকে সাহায্য করবে। তাই, আমাদের পরবর্তী পোস্টগুলো পড়তে ভুলবেন না।