Bptetra : আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই-বোনেরা। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। তবে, যদি আপনি বা আপনার প্রিয়জনের কেউ অসুস্থ হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ঔষধের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেষ্টা করছেন। আজ আমরা কথা বলব একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের নাম—Bptetra।
এটি সম্পর্কে আপনাদের কিছু মূল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব, যেমনঃ 🔹 Bptetra কি কাজ করে? 🔹 এটি কিসের ঔষধ? 🔹 Bptetra এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? 🔹 Bptetra খাওয়ার বা ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম কী? 🔹 Bptetra এর দাম কত ইত্যাদি?
আমরা আশা করি, এই বিষয়ে আপনি প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
Bptetra এর কাজ কি?
Bptetra Capsul মস্তিষ্কের সমস্যা এবং স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার ফলে সৃষ্ট নরচড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ কর্তে ব্যাবহার করা হয়।
Bptetra এর দাম কত?
Bptetra Capsul প্রতি পিসের দামঃ ১.০০ টাকা।
এই দাম একটু কম বেশি হতে পারে। আপনি বাজারে গিয়ে একদম সঠিক দামটি জানতে পারবেন। আশা করি এই দামটিই সঠিক।
Bptetra খাওয়ার বা ব্যাবহারের নিয়ম কি?
Bptetra Capsul সেবনমাত্রা: খাবারের সাথে অথবা খালি পেটে সেবন যোগ্য। সাপ্তাহিক ক্রমবর্ধমান মাত্রায় স্বতন্ত্র ডোজ / ঔষধ মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।
• প্রথম সপ্তাহের প্রারম্ভিক মাত্রা: ১২.৫ মি.গ্রা. দৈনিক এক বার
• ২য় সপ্তাহে: দৈনিক ২৫ মি.গ্রা. (১২.৫ মি.গ্রা. দৈনিক দুই বার);
• এভাবে প্রতি সপ্তাহ ব্যবধানে ধীরে ধীরে ১২.৫ মি.গ্রা. করে সহনীয় হারে ডোজ বৃদ্ধি করা উচিত যা করীয়া কমাতে সহায়তা করে। দৈনিক ৩৭.৫ মি.গ্রা. থেকে ৫০ মি. গ্রা. নির্ধারিত মাত্রা তিনটি পৃথক ডোজে প্রয়োগ করতে হবে।
প্রতিটি একক ডোজ ২৫ মি.গ্রা. এর বেশী হওয়া যাবে না।
• যে সকল রোগীর দিনে ৫০ মি.গ্রা. এর অধিক মাত্রায় ডোজ প্রয়োজন তাদের ঔষধ বিপাকীয় এনজাইম CYP2D6 এর জিনোটাইপ পর্যালোচনার মাধ্যমে তারা অধিক মাত্রায় বিপাকে সক্ষম কিনা অথবা র্যাপ্ত পরিমাণে বিপাকে অক্ষম কিনা তা নির্ধারণ করে নিতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে বিপাকে অক্ষম রোগীর সর্বোচ্চ দৈনিক ৫০ মি.গ্রা. (সর্বোচ্চ একক ডোজ ২৫ মি.গ্রা. অধিক ও মাঝারি মাত্রায় বিপাকে সক্ষম রোগীর সর্বোচ্চ ডোজ দৈনিক ১০০ মি.গ্রা. (সর্বোচ্চ একক ডোজ ৩৭.৫ মি.গ্রা.) তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ঔষধের ক্রমবর্ধমান মাত্রা বন্ধ করে কম মাত্রা প্রয়োগ করা উচিত। যদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া না কমে, তাহলে ঔষধ প্রত্যাহার করার বিবেচনা করা যেতে পারে।
শিশু, কিশোর ও বয়ঃসন্ধিকালীন ব্যবহার: শিশুদের ক্ষেত্রে টেট্রাবেনাজিন এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত করা হয়নি।
বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে: টেট্রাবেনাজিন এর প্রাথমিক মেটাবোলাইটের ফার্মাকোকাইনেটিক্স নিয়ে এখন পর্যাপ্ত কোনো গবেষণা করা হয়নি।
বিভিন্ন কারনে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন
Bptetra এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?
সকল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যাইহোক, অনেক মানুষের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না বা কেবল ছোটখাট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যদি এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়।
এ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমনঃ দূর্বলতা, মাথা ঝিম্ ঝিম্ ভাব, মাথা ব্যথা, মেজাজের পরিবর্তন, বিষন্নতা, ঘুমের ব্যাঘাত, চোখে ঝাপসা দেখা, কম রক্তচাপ, গিলতে সমস্যা।
বমিভাব ও বমি। কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়েরিয়া ইত্যাদি হতে পারে।
আশা করি, 'Bptetra এর কাজ কি?', 'Bptetra খাওয়ার বা ব্যবহারের নিয়ম', 'Bptetra এর দাম কত', এবং 'Bptetra এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি'—এই বিষয়গুলো আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং ভালো লেগেছে। যদি আপনি Bptetra সম্পর্কিত আরও কিছু জানার আগ্রহী হন, তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজে সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারেন। আমাদের ফেইসবুক পেইজের লিংক নিচে দেওয়া হল।
আর যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলোও পড়তে ভুলবেন না। ধন্যবাদ 😊
নোট: এই সকল তথ্য ইন্টারনেট এবং অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত। যদি কোন তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে এই ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। তবে, যদি আপনি কোন ভুল তথ্য খুঁজে পান, অনুগ্রহ করে একটি স্ক্রিনশট নিয়ে আমাদের মেসেজ করুন।